মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২০ ও সাফল্য লাভের টিপস || Madhaymik Geography Suggestion 2020

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২০

সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে লক্ষ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। জীবনের প্রথম বড়ো পরীক্ষা দিতে চলেছে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে টেনশন শুরু হয়ে গেছে। আর তাদের মনের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ভয়। তারা সমসময় ভাবছে- পরীক্ষায় কি লিখবো? কিভাবে লিখলে ভালো নম্বর পাবো? কোন প্রশ্নগুলো বেশি করে পড়বো? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আজ দেওয়া হবে এবং তোমাদের মনের ভয় দূর হবে আজকে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভয় ও টেনশন দূর করার জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি “মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২০” এবং মাধ্যমিক ভূগোলে সাফল্য লাভের কিছু টিপস” 

মাধ্যমিক ২০২০ ভূগোল পরীক্ষার তারিখঃ
WBBSE বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা হবে ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০।

♦মাধ্যমিক ২০২০ ভূগোল পরীক্ষার সময়ঃ
মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য মোট নির্ধারিত সময় হলো 3 ঘন্টা 15 মিনিট। প্রথম 15 মিনিট প্রশ্নপত্র দেখার জন্য দেওয়া হবে এবং বাকি 3 ঘন্টা লেখার জন্য। পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর 11:45 থেকে এবং পরীক্ষা শেষ হবে বিকাল 3 টা।

♦মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরনঃ
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুযায়ী, মাধ্যমিক ভূগোলে মোট ছয়টি বিভাগ থেকে প্রশ্ন আসবে। প্রতিটি বিভাগের প্রশ্ন বিভাজন কেমন তা নীচে দেওয়া হলো-

◊বিভাগ-ক (বহুবিকল্পধর্মী প্রশ্ন):
এই বিভাগে মোট 14টি MCQ প্রশ্ন আসবে এবং প্রতিটি প্রশ্নের মান-1। এক্ষেত্রে কোনো বিকল্প প্রশ্ন থাকবে না।

◊বিভাগ-খ (অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন):
এই বিভাগে থাকবে দু’একটি শব্দের উত্তর, শূন্যস্থান পূরণ, শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্বাচন ও স্তম্ভ মেলানো। মোট 26টি প্রশ্ন থাকবে, করতে হবে 22 টি প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের মান-1.

◊বিভাগ-গ (সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন):
এই বিভাগে মোট 12টি প্রশ্ন থাকবে এবং উত্তর দিতে হবে 6টি প্রশ্নের। প্রতিটি প্রশ্নের মান-2 এবং প্রতিক্ষেত্রে বিকল্প প্রশ্ন থাকবে। প্রাকৃতিক ভূগোলের অধ্যায় থেকে চারটি প্রশ্নের মধ্যে দুটি করতে হবে। বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা অধ্যায় থেকে দুটির মধ্যে একটি, ভারতের ভূগোল থেকে চারটি প্রশ্নের মধ্যে দুটি করতে হবে এবং উপগ্রহ চিত্র অধ্যায় থেকে দুটি প্রশ্নের মধ্যে একটি করতে হবে।

◊বিভাগ-ঘ (সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন):
এই বিভাগে আটটি প্রশ্নের মধ্যে চারটির উত্তর করত হবে। প্রতিটি প্রশ্ন মান-3 । প্রাকৃতিক ভূগোল, বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা, ভারতের ভূগোল এবং উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র অধ্যায় থেকে যথাক্রমে একটি করে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের একটি করে বিকল্প প্রশ্ন থাকবে।

◊বিভাগ-ঙ (দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন):
এই বিভাগে মোট আটটি প্রশ্ন থাকবে এবং এর মধ্যে চারটি প্রশ্ন করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-5 । প্রাকৃতিক ভূগোল থেকে চারটি প্রশ্নের মধ্যে দুটি এবং ভারতের ভূগোল থেকে চারটি প্রশ্নের মধ্যে দুটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা এবং উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র অধ্যায় থেকে কোনো প্রশ্ন থাকবে না।

◊বিভাগ-চ (মানচিত্র চিহ্নিতকরণ):
এই বিভাগে দশটি মানচিত্র উপযুক্ত প্রতীক ও নামসহ চিহ্নিতকরণ করতে হবে। প্রশ্নমান-1। ভারতের প্রাকৃতিক ভূগোল থেকে 5টি এবং ভারতের অর্থনৈতিক ভূগোল থেকে 5টি মানচিত্র চিহ্নিতকরণ থাকবে। এক্ষেত্রে কোনো বিকল্প থাকবে না।

মাধ্যমিক ভূগোলে সাফল্য লাভের টিপসঃ

1. যথাযথ ও সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে হবে।

2. পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন হাতের লেখা হতে হবে।

3. প্রাকৃতিক ভূগোলে অবশ্যই প্রয়োজনমতো চিত্র অঙ্কন করতে হবে (চিত্র সহযোগে উত্তরের ক্ষেত্রে নম্বরের বিভাজন: 1.5+3.5=5)।

4. লেখায় উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

5. খাতায় প্যারাগ্রাফের মাঝখানে চিত্রের জন্য আলাদা জায়গা ব্যবহার করতে হবে।

6. কালো কালি দিয়ে মার্জিন, এবং সবুজ অথবা নীল কালি দিয়ে প্যারাগ্রাফের হেডিং এবং মূল বিষয়গুলি আন্ডারলাইন করা।

7. সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে মাথায় রাখবে, পয়েন্টভিত্তিক উত্তর লিখলে নম্বর ভালো পাবে। 2 নম্বরের প্রশ্নে 2-3টি, 3 নম্বরের প্রশ্নে 3-4টি এবং 5 নম্বরের প্রশ্নে 5-6টি পয়েন্ট বিশদভাবে ব্যাখ্যা করবে।

8. কোনো পার্থক্য লেখার সময় চার থেকে ছ’টি পার্থক্য বিষয় উল্লেখ করে লিখবে।

9. প্রতিটি বিষয়বস্তু পড়ার সময় ওই বিষয়ে অনুশীলনীর সমস্ত প্রশ্ন, বিগত মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগত প্রশ্ন ও টেস্ট পেপারের প্রশ্নগুলির উত্তর তৈরি করে নিতে হবে।

10. উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির তলায় দাগ টেনে দাও অর্থাৎ আন্ডারলাইন করো যাতে শিক্ষকের চোখে পড়ে।

11. উত্তর লেখার সময় যতটা সম্ভব টেবল, ফ্লো চার্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করো।

12. ম্যাপ পয়েন্টিং অংশটিই প্রশ্নপত্রের সবচেয়ে স্কোরিং পার্ট। এ ক্ষেত্রে পর্বত, নদী, হ্রদ, কোনও একটি বিশেষ অঞ্চল (ধান ও গম উৎপাদক অঞ্চল, শিল্প কেন্দ্র), কোনো একটি বিশেষ জায়গা (যেমন- রাজধানী, শহর) ইত্যাদি চিহ্নিত করতে হবে। এখানে যথাসম্ভব সঠিক জায়গাটি দেখানোর চেষ্টা করতে হবে। জায়গাগুলি পেন্সিল দিয়ে চিহ্নিত করে সেখানে জায়গার নাম এবং পাশে একটি বক্স করে চিহ্নগুলি দিয়ে পর্বত, নদনদী, শহর ইত্যাদির প্রতীক চিহ্নগুলি দেখাতে হবে। নিখুঁত ও সুস্পষ্ট পয়েন্টিং ভাল নম্বর তুলতে সাহায্য করবে।

13. টেস্ট পেপারে থাকা সমস্ত MCQ, শূন্যস্থান পূরণ, শুদ্ধ/অশুদ্ধ, স্তম্ভ মেলানো, দু-একটি শব্দে উত্তরধর্মী প্রশ্নগুলি (মান-1) সমাধান করার চেষ্টা করো এবং সেগুলো একটি খাতায় লিখে রাখো। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে এগুলো ব্যাপক কাজে লাগে।

14. মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে বাড়িতে বসেই টেস্ট পেপার থেকে ঘড়ি ধরে 3-4টি পরীক্ষা দাও।

15. সবশেষে বলি, পড়াশোনা একটি সাধনা। ধৈর্য, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পড়াশোনা করলে সফল হবেই।

“মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২০” PDF: Download PDF

মাধ্যমিক ভূগোল মডেল প্রশ্ন সেট ২০২০: Download PDF

মাধ্যমিক ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাপ পয়েন্টিং: Download PDF

সকল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জানাই শুভ কামনা। মাথা ঠান্ডা রেখে ভালো করে পরীক্ষা দাও। 

©Mission Geography India.

Tag: মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২০, মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন, মাধ্যমিক ভূগোল, মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২০, Madhyamik Geography Suggestion 2020, Madhyamik Geography Suggestion, Madhyamik Geography, Madhyamik Suggestion, মাধ্যমিকে সাফল্য লাভের টিপস।

Content Protection by DMCA.com
এখান থেকে শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js //pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js //pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js
//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js
error: মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত