আজ বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস ।। World Book and Copyright Day, 23th April
আজ ২৩শে এপ্রিল বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস। ১৯৯৫ সালের ২৩শে এপ্রিল ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কো সাধারণ সভায় দিনটিকে বই দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ব বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো- “বই পড়া, বই ছাপা, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো। সর্বোপরি লেখক, পাঠক, প্রকাশকদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করা।”
On Monday's #WorldBookDay & every day, #StandUp4HumanRights to education and freedom of expression. More from @UNESCO: https://t.co/j3ANNX70kK pic.twitter.com/Urm12qfNak
— United Nations (@UN) April 22, 2018
বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে পালন করা শুরু করেন বিশ্ব বই দিবস।

এরপর ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং পালন করতে শুরু করে। সে থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

আজ বিশ্ব কপিরাইট দিবসও। কপিরাইট হল কোনো লেখকের যা কিছু সৃষ্টি, হতে পারে সেটি কোনো গল্প, কবিতা, সুর, গান, ভাস্কর্য, আঁকা বা তোলা ছবি, ভিডিও এবং স্থাপত্যসহ এমন কিছু –যার সৃষ্টির পেছনে লেখকের মেধা রয়েছে। সেই সৃষ্টিকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া, যাতে অন্য কেউ সেই সৃষ্টি থেকে এর রূপকারের অনুমতি ছাড়া আর্থিকভাবে লাভবান বা নিজের সৃষ্টি বলে চালিয়ে দিতে না পারে। কপিরাইট সাধারণত একটি সীমিত মেয়াদের জন্য কার্যকর হয়। ওই মেয়াদের পর কাজটি পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্গত হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২৩শে এপ্রিল শুধু বিশ্ব বই দিবসই নয়, শেক্সপিয়র, সত্যজিৎ রায়, ইনকা গার্সিলাসো ডে লা ভেগাসহ প্রমুখ খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের জন্ম ও প্রয়ান দিবসও। আর তাই ২৩শে এপ্রিলকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালনের এটিও অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করেন অনেকেই।