আজ ২৩ শে মার্চ, বিশ্ব আবহাওয়া দিবস || World Meteorological Day 2020
আজ ২৩ শে মার্চ, বিশ্ব আবহাওয়া দিবস (World Meteorological Day)। ১৯৫০ সালের ২৩ শে মার্চ World Meteorological Organization স্থাপিত হয়। এই প্রতিষ্ঠা দিনটির স্মরণে ১৯৬১ সাল থেকে প্রতিবছর ২৩ শে মার্চ দিনটি বিশ্ব আবহাওয়া দিবস রূপে পালন করা হয়।
এবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের থিম হল- “জলবায়ু ও জল” (Climate and Water)।
♦World Meteorological Day Themes (1961-2020):
★ ১৯৬১ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology – general themes”.
★ ১৯৬২ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Contribution of meteorology to agriculture and food production”.
★ ১৯৬৩ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Transport and meteorology (in particular, application of meteorology to aviation)”.
★ ১৯৬৪ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology as a factor of economic development”.
★ ১৯৬৫ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “International cooperation in meteorology”.
★ ১৯৬৬ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “World Weather Watch”.
★ ১৯৬৭ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather and water”.
★ ১৯৬৮ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and agriculture”.
★ ১৯৬৯ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “The economic value of meteorological services”.
★ ১৯৭০ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorological education and training”.
★ ১৯৭১ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and human environment”.
★ ১৯৭২ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and human environment”.
★ ১৯৭৩ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “One hundred years of international cooperation in meteorology”.
★ ১৯৭৪ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and tourism”.
★ ১৯৭৫ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and telecommunications”.
★ ১৯৭৬ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather and food”.
★ ১৯৭৭ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather and water”.
★ ১৯৭৮ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and research for the future”.
★ ১৯৭৯ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and energy”.
★ ১৯৮০ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Man and climatic variability”.
★ ১৯৮১ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “World Weather Watch as a tool for development”.
★ ১৯৮২ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Observing the weather from space”.
★ ১৯৮৩ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “The weather observer”.
★ ১৯৮৪ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology aids food production”.
★ ১৯৮৫ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and public safety”.
★ ১৯৮৬ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Climate variations, drought and desertification”.
★ ১৯৮৭ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology: a model of international cooperation”.
★ ১৯৮৮ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and the media”.
★ ১৯৮৯ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology in the service of aviation”.
★ ১৯৯০ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Natural disaster reduction: how meteorological and hydrological services can help”.
★ ১৯৯১ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “The atmosphere of the living planet Earth”.
★ ১৯৯২ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather and climate services for sustainable development”.
★ ১৯৯৩ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology and the transfer of technology”.
★ ১৯৯৪ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Observing the weather and climate”.
★ ১৯৯৫ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Public weather services”.
★ ১৯৯৬ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Meteorology in the service of sports”.
★ ১৯৯৭ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather and water in cities”.
★ ১৯৯৮ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather, oceans and human activity”.
★ ১৯৯৯ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather, climate and health”.
★ ২০০০ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “The World Meteorological Organization – 50 years of service”.
★ ২০০১ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Volunteers for weather, climate and water”.
★ ২০০২ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Reducing Vulnerability to Weather and Climate Extremes”.
★ ২০০৩ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Our future climate”.
★ ২০০৪ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather, climate, water in the information age”.
★ ২০০৫ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather, climate, water and sustainable development”.
★ ২০০৬ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Preventing and mitigating natural disasters”.
★ ২০০৭ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Polar meteorology: Understanding global impacts”.
★ ২০০৮ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Observing our planet for a better future”.
★ ২০০৯ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather, climate and the air we breathe”.
★ ২০১০ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “60 years of service for your safety and well-being”.
★ ২০১১ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Climate for You”.
★ ২০১২ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Powering our Future with Weather, Climate and Water”.
★ ২০১৩ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Watching the weather to protect life and property”.
★ ২০১৪ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather and Climate: Engaging Youth”.
★ ২০১৫ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Climate Knowledge for Climate Action”.
★ ২০১৬ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Hotter, drier, wetter. Face the Future”.
★ ২০১৭ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Understanding Clouds”.
★ ২০১৮ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “Weather-Ready, Climate-Smart”.
★ ২০১৯ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম ছিল- “The Sun, the Earth and the Weather”.
★ ২০২০ সালে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস” -এর থিম হল- “Climate and Water”.
★ ভারতের আবহাওয়ার রেকর্ড ★
★ ভারতের উষ্ণতম স্থানঃ- রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর জেলার ফালোদি হল ভারতের উষ্ণতম স্থান। ১৯ শে মে, ২০১৬ সালে এখানে রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ উষ্ণতা হল ৫১ ডিগ্রি C।
★ ভারতের শীতলতম স্থানঃ- জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের কার্গিল জেলার দ্রাস হল ভারতের শীতলতম স্থান। ২২ শে মার্চ, ১৯১১ সালে এখানে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন উষ্ণতা হল মাইনাস ৩৩.৯ ডিগ্রি C।
★ ভারতের সর্বাধিক গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানঃ-
মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলার মৌসিনরাম হল ভারতের সর্বাধিক গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থান। এখানে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১১,৮৭৩ মিমি। আবার, এখানে ১৯৯৮-২০১০ সাল পর্যন্ত গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২,৭০১ মিমি।
★ ভারতের একবছরে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানঃ-
মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলার চেরাপুঞ্জি (সোহরা) হল ভারতের একবছরে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থান। এখানে ১৮৬০-৬১ বর্ষে (আগস্ট ১৮৬০-জুলাই ১৮৬১) মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৬,৪৭১ মিমি।
★ ভারতের একমাসে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানঃ-
মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলার চেরাপুঞ্জি (সোহরা) হল ভারতের একমাসে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থান। এখানে ১৮৬১ সালের জুলাই মাসে মোট মাসিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৯৩০০ মিমি।
★ ভারতের ৪৮ ঘন্টায়/২দিনে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানঃ-
মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলার চেরাপুঞ্জি (সোহরা) হল ভারতের ৪৮ ঘন্টায়/২দিনে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থান। এখানে ১৯৯৫ সালের ১৫-১৬ ই জুন ৪৮ ঘন্টায়/২দিনে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৪৯৩ মিমি।
★ ভারতের শুষ্কতম স্থানঃ-
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের লেহ্ জেলার লেহ্ হল ভারতের শুষ্কতম স্থান। এখানে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০৫.৫ মিমি, যা ভারতের সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থান।
তথ্যসূত্রঃ- IMD ; Wikipedia ; Govt of Rajasthan ; Times of India
-অরিজিৎ সিংহ মহাপাত্র (পার্শ্বলা, বাঁকুড়া)
©মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া