বাধ্যতামূলক হচ্ছে হিন্দি শেখা ।। প্রকাশিত হলো জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবিত খসড়া
মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়াঃ কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির নতুন প্রস্তাবিত খসড়া প্রকাশিত হলো। সেই খসড়া অনুসারে সব রাজ্যের স্কুলগুলিতে বাধ্যতামূলক হচ্ছে হিন্দি শেখা । সেই সঙ্গে তিন বছরের স্নাতক চার বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
৩০ শে মে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর মন্ত্রীসভার ৫৭ জন মন্ত্রী। সেই দিনই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
এরপর ৩১ শে মে শুক্রবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে জমা পড়ে জাতীয় শিক্ষানীতির নতুন একটি প্রস্তাবিত খসড়া। সেই প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশের সব রাজ্যের স্কুলগুলোতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি ভাষা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হোক।
Draft New Educational Policy 2019 being submitted to the Hon'ble Minister for HRD by the Drafting Committee. pic.twitter.com/qvYstJMKzT
— Ministry of HRD (@HRDMinistry) May 31, 2019
কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতির প্রধান, ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন -এর নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষানীতির যে প্রস্তাবিত খসড়া প্রকাশিত হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে- দেশের সব স্কুলে তিনটি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক। হিন্দিভাষী রাজ্যের স্কুলগুলিতে হিন্দির সঙ্গে ইংরেজি ও যেকোনো একটি ভারতীয় আধুনিক ভাষা শিখতে হবে৷ অ-হিন্দিভাষী রাজ্যের স্কুলগুলিতে হিন্দি এবং ইংরেজির সঙ্গে শিখতে পারা যাবে একটি আঞ্চলিক ভাষা৷
♦একনজরে দেশে নেওয়া যাক জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবিত খসড়ায় কি কি রয়েছেঃ-
(১) স্কুলের আগে তিন বছরের প্রাক্-স্কুল শিক্ষা।
(২) ১০+২ শিক্ষা ব্যবস্থার বদলে ৫+৩+৩+৪ ব্যবস্থা (প্রথম পাঁচ বছরে তিন বছরের প্রাক্ স্কুল ও প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণি)।
(৩) নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর। এক্ষেত্রে প্রতি বছর ভাগ করা হবে দু’টি সেমিস্টারে।
(৪) উচ্চমাধ্যমিক স্তর বলে কিছু থাকবে না।
(৫) অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক।
(৬) পাঠ্যক্রমে সামাজিক দায়বদ্ধতা, একাধিক ভাষা শিক্ষা ও ডিজিটাল শিক্ষায় জোর।
(৭) তিন বছরের বদলে চার বছরের অনার্সের স্নাতক স্তর।
(৮) শিক্ষার অধিকার আইনে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিখরচায় বাধ্যতামূলক শিক্ষা।

তবে দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো এই খসড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে। তামিলনাড়ুর এডিএমকে সরকারের শিক্ষামন্ত্রী কেএ সেঙ্গোত্তাইয়ান বলেন- “আমরা কেন্দ্রের এই নীতি মানবো না। তামিলনাড়ু দু’টি ভাষার নীতি নিয়েই চলবে। শুধু তামিল ও ইংরেজিই শেখানো হবে”।
এরপর শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব আর সুব্রহ্মণ্যম টুইট করে বলেন- “কোনো ভাষাকেই বাধ্যতামূলক ভাবে চাপিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই সরকারের।”
Enclosed clarifications regarding #NEP2019 issued by the Ministry today @HRDMinistry @DrRPNishank @ugc_india @PMOIndia pic.twitter.com/e2LKL9bv3P
— R. Subrahmanyam (@subrahyd) June 1, 2019
কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতির নতুন যে প্রস্তাবিত খসড়া প্রকাশিত হয়েছে তা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আগে প্রতিটি রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা করা হবে। তারপর সেই আলোচনার ভিত্তিতে নতুন নীতি তৈরি করা হবে।
তথ্যসূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, The Wall, News 18 Bangla.