ভারতের জনঘনত্ব ও বন্টন

পৃথিবীর সমগ্র অঞ্চলে জনসংখ্যার বন্টন সমান নয়। কোথাও কম, আবার কোথাও বেশী। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৬০% লোক বাস করেন এশিয়া মহাদেশে। যদি আমরা গোলার্ধ অনুসারে দেখি, তাহলে বিশ্বের ৯০% মানুষই বাস করেন উত্তর গোলার্ধে। জনসংখ্যার বন্টন ও জনঘনত্ব এক প্রকৃতির নয়। পৃথিবীর কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে যত সংখ্যক মানুষ বাস করেন তাকে জনবন্টন বলে। অন্য দিকে প্রতি বর্গ কিমিতে কত লোক বাস করেন তাকে জনঘনত্ব বলে, যা একটি পরিসংখ্যানগত ধারণা। সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়, কোনো অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ও মোট জমির পরিমাণকে বলে জনঘনত্ব অর্থাৎ কোনো অঞ্চলে বা দেশে বা মহাদেশে প্রতি বর্গ কিমিতে কতজন বাস করেন। তাই, আমরা বলতে পারি যে জনসংখ্যার বন্টনের সূচক হল জনঘনত্ব। অর্থাৎ জনঘনত্ব = মোট জনসংখ্যা / মোট জমির পরিমাণ। ২০১১ জনগণনা অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যা ছিল ১২১,০১,৯৩,৪২২ জন এবং জনগণনা কৃত মোট জমির পরিমাণ ছিল ৩১,৬৬,৪১৪ বর্গকিমি (পাকিস্তান ও চিন অধিকৃত অঞ্চল বাদে)। সুতরাং ১২১,০১,৯৩,৪২২ / ৩১,৬৬,৪১৪ = ৩৮২ জন, অর্থাৎ ভারতে প্রতি বর্গ কিমিতে ৩৮২ জন লোক বাস করেন
জনঘনত্বের প্রকারভেদ আলোচনাতে, জনসংখ্যা ও মোট জমির পরিমাণের সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে ত্রিওয়ার্থা (Trewartha) তিন প্রকার ঘনত্বের কথা বলেছেন —
(১) গাণিতিক ঘনত্বঃ- জমির পরিমাণ ও মোট জনসংখ্যার অনুপাত। কিন্তু এটি সহজে পরিমাপ করা গেলেও জমির ওপর জনসংখ্যার চাহিদা এথেকে বোঝা যায় না।
(২) পুষ্টি ঘনত্বঃ- কোনো কৃষিকাজে ব্যবহৃত জমিতে প্রতি বর্গ কিমিতে কত জন নির্ভরশীল, তাই হল পুষ্টি ঘনত্ব।
(৩) কৃষি ঘনত্বঃ- কোনো জমিতে কত সংখ্যক লোক কর্মরত তার অনুপাতই হল কৃষি ঘনত্ব।

ভারতে জনসংখ্যার বন্টন ও জনঘনত্বঃ-
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ হল ভারত, যা পৃথিবীর স্থলভাগের ২.৪২% জায়গা জুড়ে রয়েছে। ২০১১ সালে আদমশুমারিতে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১২১,০১,৯৩,৪২২ জন যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৭.৫%। ২০০১ সালে জনসংখ্যা ছিল ১০২ কোটি। ২০০১-১১ এই ১০ বছরে জনবৃদ্ধির হার ১৭.৬৪%। ভারতের জনসংখ্যা বণ্টনে ব্যাপক তারতম্য দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে, মালভূমি, মরুভূমি ও সমতল ভূমিতে জনসংখ্যা সমান ভাবে বন্টিত নয়। জনসংখ্যার এরূপ অসমান বণ্টনের কারণগুলি হল —
(১) প্রাকৃতিক কারণঃ-
জনসংখ্যা ও জনঘনত্বের অসমান বণ্টনের প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রক গুলি হল — ভূপ্রকৃতি, জল, মাটি, শক্তি ও খনিজ সম্পদ প্রভৃতি।
★ ভূ-প্রকৃতিঃ- জনসংখ্যার বণ্টনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক হল ভূ-প্রকৃতি। এক্ষেত্রে ভূমির ঢাল, উচ্চতা, বন্ধুরতা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল ও উচ্চতার কারণে বন্ধুর ভূপ্রকৃতির গড়ে ওঠায়, জনঘনত্ব কম দেখা যায়। কিন্তু কিছু অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের জন্যে উন্নতি হওয়াতে শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ঘন বসতি। যেমন দার্জিলিং,গ্যাংটক, সিমলা প্রভৃতি। কিন্তু বেশীরভাগ মানুষই সমতল ভূমিতে বাস করেন, কারণ সমতল ভূমিতে সমস্ত সুবিধা থাকায় জনঘনত্ব বেশী। অন্যদিকে মালভূমি অঞ্চলে ভূমির ঢাল মধ্যম প্রকৃতির হয়। কিন্তু কিছু মালভূমি অঞ্চলে খনিজসম্পদকে কেন্দ্র করে গড়ে ঘনবসতি দেখা যায়।
★ নদ-নদীঃ- ভারতের বেশির ভাগ বসতি নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। গঙ্গা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, গোদাবরী প্রভৃতি নদী অববাহিকা কৃষিকাজের সুবিধাযুক্ত হওয়াতে কৃষিকে কেন্দ্র করে জন বসতি গড়ে ওঠে। যেহেতু নদী যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম তাই পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলি নদীকে ঘিরে রয়েছে। ভারতে সিন্ধু নদকে ঘিরে তৈরী হয়েছে সিন্ধু সভ্যতা।
★ জলঃ- জলাশয় ও জলনিকাশি ব্যবস্থা বসতি গড়ে তোলার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উন্নত জলনিকাশি ব্যবস্থা ও জলাশয়ের নিকটবর্তী অঞ্চলে ঘন বসতি দেখা যায়। কিন্তু অনুন্নত জলনিকাশি ব্যবস্থা যেসব অঞ্চলে রয়েছে, যেমন গুজরাটের কচ্ছের রণ অঞ্চল, সেখানে বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠে। জনসংখ্যার বণ্টনের ক্ষেত্রে ভৌমজলস্তরও এক অন্যতম নিয়ন্ত্রক। জলস্তর যদি মাটির গভীরে থাকে তাহলে বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠে। জলস্তর ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকে তাহলে সংঘবদ্ধ বসতি গড়ে ওঠে।
★ জলবায়ুঃ- জনসংখ্যার বণ্টন ও ঘনত্বের উপর জলবায়ুর প্রভাব অপারিসীম। তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। উষ্ণ মরু অঞ্চল অত্যধিক তাপমাত্রার জন্যে জনবসতিহীন হয়। আবার হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল অত্যধিক শৈত্যের কারণে জনবসতিহীন হয়। উত্তর- পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আর্দ্রতা বেশী হওয়াতে মাঝারি জনবসতি দেখা যায়। জলবায়ুর তারতম্যের জন্যে জনবসতি কোথাও ঘন হয় আবার কোথাও বিক্ষিপ্ত হয় আবার কোথাও বা জনশূন্য হয়।
★ মাটিঃ- মাটির গুণগত মান জনবসতির উপর প্রভাব পড়ে। উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের এক বিস্তীর্ণ অংশ বরফে ঢাকা থাকায় জনশূন্য হয়, অন্যদিকে নদী অববাহিকাতে উর্বর পলি মাটি থাকায় জনবসতিপূর্ণ হয়। দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে রেগুর মাটি থাকায় জনবসতি মাঝারি হয়।
(২) আর্থ- সামাজিক কারনঃ-
নিম্নোক্ত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক কারণে জনবসতির উপর প্রভাব পড়ে।
★ শিল্পাঞ্চলঃ- হলদিয়া, হুগলি, দুর্গাপুর, আসানসোল, মুম্বাই, আমেদাবাদ প্রভৃতি অঞ্চলে শিল্প গড়ে ওঠায় তা ঘন জনবসতিপূর্ণ হয়।
★ কৃষি ও পশুপালনঃ- ভারত আমাদের কৃষি প্রধান দেশ। কৃষিকাজকে কেন্দ্র করে বসতি গড়ে ওঠে। উর্বর মাটি চাষের কাজে উপযোগী, তাই তাকে কেন্দ্র করে ঘনবসতি গড়ে উঠে। যেমন – গঙ্গা নদীর অববাহিকাকে কেন্দ্র করে ঘনবসতি গড়ে উঠেছে।
★ ধর্মীয় স্থানঃ- বারানসী, বদ্রীনাথ, মথুরা, দ্বারকা, পুরী প্রভৃতি শহরগুলি মূলত ধর্মীয় স্থান হওয়াতে এখানে ঘন বসতি গড়ে উঠেছে।
★ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ- দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহরগুলিতে অনেক জায়গা থেকে পড়াশোনার জন্যে শিক্ষার্থীরা আসেন। সেজন্যে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্য জোগান দিতে বাজার গড়ে ওঠে। এইভাবে বসতির বিস্তার হয়।
★ জীবিকার সুযোগঃ- মানুষের প্রাথমিক চাহিদা গুলো হল — খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান। মৌলিক চাহিদার জন্যে মানুষ পরিব্রাজন করে গ্রাম থেকে শহরে জীবিকার সন্ধানে। যেসব অঞ্চলে কাজের সুযোগ আছে, সেখানে জনবসতি ঘন হয়।
★ সরকারি ও বেসরকারি নীতিঃ- সরকারি ও বেসরকারি নীতি ও রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে জনবসতির ওপর প্রভাব পড়ে। যেমন রাজারহাট ও নিউটাউন পরিকল্পিত শহর হওয়াতে জনসংখ্যা বাড়ছে।
★ যোগাযোগঃ- কোনো অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সেই অঞ্চলে জনবসতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। দুর্গম অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়াতে জনবসতি স্বল্প হয়। অন্যদিকে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাযুক্ত অঞ্চলে রাস্তার দুই ধারে মূলত রৈখিক বসতি গড়ে উঠে।
সর্বোপরি বলা যায় যে, উপরোক্ত কারণগুলিতে জনসংখ্যা বণ্টনের তারতম্য হলেও পর্যটন শিল্প, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সম্পদের বণ্টন, প্রযুক্তি শিল্পের উন্নতির জন্যেও জনসংখ্যার বন্টন দেখা যায়।

নিচে একটি তালিকার মাধ্যমে ভারতের জনসংখ্যার বন্টন ও জনঘনত্ব তুলে ধরা হল —
___________________________________________
[রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল >> মোট জনসংখ্যা >> জনঘনত্ব (জন/প্রতি বর্গকিমিতে)]
অন্ধ্রপ্রদেশ >> ৪,৯৫,৭৭,১০৩ >> ৩০৩
উত্তরপ্রদেশ >> ১৯,৯৮,১২,৩৪১ >> ৮২৮
মহারাষ্ট্র >> ১১,২৩,৭৪,৩৩৩ >> ৩৬৫
বিহার >> ১০,৪০,৯৯,৪৫২ >> ১১০২
পশ্চিমবঙ্গ >> ৯,১২,৭৬,১১৫ >> ১০২৯
মধ্যপ্রদেশ >> ৭,২৬,২৬,৮০৯ >> ২৩৬
তামিলনাড়ু >> ৭,২১,৪৭,০৩০ >> ৫৫৫
রাজস্থান >> ৬,৮৫,৪৮,৪৩৭ >> ২০১
কর্ণাটক >> ৬,১০,৯৫,২৯৭ >> ৩১৯
গুজরাট >> ৬,০৪,৩৯,৬৯২ >> ৩০৮
ওড়িশা >> ৪,১৯,৭৪,২১৮ >> ২৬৯
তেলেঙ্গানা >> ৩,৫০,০৩,৬৭৪ >> ৩১২
কেরালা >> ৩,৩৪,০৬,০৬১ >> ৮৫৯
ঝাড়খন্ড >> ৩,২৯,৮৮,১৩৪ >> ৪১৪
আসাম >> ৩,১২,০৫,৫৭৬ >> ৩৯৭
পাঞ্জাব >> ২,৭৭,৪৩,৩৩৮ >> ৫৫০
ছত্তিশগড় >> ২,৫৫,৪৫,১৯৮ >> ১৮৯
হরিয়ানা >> ২,৫৩,৫১,৪৬২ >> ৫৭৩
উত্তরাখণ্ড >> ১,০০,৮৬,২৯২ >> ১৮৯
হিমাচলপ্রদেশ >> ৬৮,৬৪,৬০২ >> ১২৩
ত্রিপুরা >> ৩৬,৭৩,৯১৭ >> ৩৫০
মেঘালয় >> ২৯,৬৬,৮৮৯ >> ১৩২
মণিপুর >> ২৫,৭০,৩৯০ >> ১২২
নাগাল্যান্ড >> ১৯,৭৮,৫০২ >> ১১৯
গোয়া >> ১৪,৫৮,৫৪৫ >> ৩৯৪
অরুনাচল প্রদেশ >> ১৩,৮৩,৭২৭ >> ১৭
মিজোরাম >> ১০,৯৭,২০৬ >> ৫২
সিকিম >> ৬,১০,৫৭৭ >> ৮৬

NCT দিল্লি >> ১,৬৭,৮৭,৯৪১ >> ১১,২৯৭
জম্মু ও কাশ্মীর >> ১,২২,৬৭,০৩২ >> ৯৮
পুদুচেরি >> ১২,৪৭,৯৫৩ >> ২৫৯৮
চণ্ডীগড় >> ১০,৫৫,৪৫০ >> ৯২৫২
দাদরা ও নাগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ >> ৫,৮৫,৭৬৪ >> ৯৭০
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ >> ৩,৮০,৫৮১ >> ৪৬
লাদাখ >> ২,৭৪,০০০ >> ২.৮
লাক্ষাদ্বীপ >> ৬৪,৪৭৩ >> ২০১৩
___________________________________________
জনঘনত্বের তারতম্যের জন্যে ভারতের রাজ্যগুলিকে প্রধানত ৫টি ভাগে ভাগ করা যায় —
(১) অতি স্বল্প জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চলঃ- জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে ১০০ জনের কম। উদাহরন — অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, মিজোরাম, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি।
(২) স্বল্প জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চলঃ- জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে ১০০-২৫০ জন। উদাহরন — মেঘালয়, মণিপুর, নাগালান্ড, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি।
(৩) মধ্যম জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চলঃ- জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে ২৫০ জনের বেশি থেকে ৫০০ জন। উদাহরন — অাসাম, গোয়া, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র, ত্রিপুরা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, গুজরাট, ওড়িশা প্রভৃতি।
(৪) অধিক জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চলঃ- জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে ৫০০ জনের বেশি থেকে ১০০০ জন। উদাহরন — উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, দাদরা নগর হাভেলি প্রভৃতি।
(৫) অত্যাধিক জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চলঃ- জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে ১০০০ জনের বেশী। উদাহরন — পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, কেরালা, দিল্লি, পুদুচেরি, লাক্ষাদ্বীপ প্রভৃতি।

লেখিকাঃ- সায়ন্তনী সিং (পাঁচপাড়া, নিমতলা, হাওড়া)
তথ্যসূত্রঃ- www.topper.com ; www.yourarticleslibrary.com ; www.geographyandyou.com ; আধুনিক ভূগোল (দ্বাদশ শ্রেণী) – ড. যুধিষ্ঠীর হাজরা ; Wikipedia ; জনসংখ্যা ভূগোল – জ্যোতির্ময় সেন

প্রথম প্রকাশঃ ভূগোলিকা ফেসবুক পেজ, তৃতীয় বর্ষপূর্তি-৩০/০৩/২০২০

©ভূগোলিকা-Bhugolika
©মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া

Content Protection by DMCA.com
এখান থেকে শেয়ার করুন

সায়ন্তনী সিং

ঠিকানাঃ পাঁচপাড়া, নিমতলা, হাওড়া

মন্তব্য করুন

//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js //pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js //pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js
//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js
error: মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত