জলপ্রপাত (Waterfall)

পৃথিবীর অসাধারন নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত প্রাকৃতিক ভূমিরূপগুলির মধ্যে একটি হল ‘জলপ্রপাত’ (Waterfall)। সাধারনত, নদীর উচ্চ প্রবাহে কঠিন ও কোমল শিলা পর্যায়ক্রমে অবস্থান করলে, কঠিন শিলার থেকে কোমল শিলা অধিক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে নদীর জলপ্রবাহ কঠিন শিলা থেকে কোমল শিলার ওপর লাফিয়ে পড়ে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে, তাকে জলপ্রপাত বলে। এছাড়াও, নদী বা জলধারার প্রবাহ পথে খাড়া ভৃগু, ভূমিঢাল প্রভৃতি অবস্থান করলে, জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

★জলপ্রপাতের শ্রেণীবিভাগ ★

আকৃতি ও গঠন অনুসারে, জলপ্রপাতকে নিম্নোক্ত শ্রেণীতে ভাগ করা হয় —

১. প্লাঞ্জ জলপ্রপাত (Plunge Waterfall):- সরু নদী থেকে সৃষ্ট কোনো জলপ্রপাতের জল যখন অনুভূমিক নিক্ষেপে, সংশ্লিষ্ট ভূমিঢালের শিলাকে স্পর্শ না করে নীচে পতিত হয় তখন তাকে প্লাঞ্জ জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — এঞ্জেল জলপ্রপাত (ভেনেজুয়েলা)।

২. রাপিড জলপ্রপাত (Rapid Waterfall):- নদীর প্রবাহ পথে বড়ো আকৃতির শিলা উঁচু হয়ে অবস্থান করলে, তার ঢাল অনুসারে যে খরস্রোতের সৃষ্টি হয়, তাকে রাপিড জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — ইনগা রাপিড (কঙ্গো নদী)।
**রাপিডের ফলে নদীতে ফেনাযুক্ত যে জলস্রোত সৃষ্টি হয়, তাকে White Water বলে।

৩. ক্যাটারাক্ট জলপ্রপাত (Cataract Waterfall):- রাপিড যুক্ত, প্রচুর পরিমানে জলবহনকারী, শক্তিশালী জলপ্রপাতকে ক্যাটারাক্ট জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত (জাম্বিয়া – জিম্বাবোয়ে)।

৪.  ব্লক জলপ্রপাত (Block Waterfall):- প্রশস্ত নদীতে, ক্যাটারাক্টের চেয়ে কম শক্তিশালী, দৈর্ঘ্যর থেকে বেশি প্রস্থ যুক্ত জলপ্রপাতকে ব্লক জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — রাইন জলপ্রপাত (সুইৎজারল্যান্ড)।

৫. কাসকেড জলপ্রপাত (Cascade Waterfall):- অমসৃণ, এবড়োখেবড়ো ভূমিঢালের ওপর সিঁড়ির ন্যায় ছোটো ছোটো সাজানো ধাপের মতো যে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়, তাকে কাসকেড জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — কেপলার কাসকেড (USA)।
**পৃথিবীতে কাসকেড প্রকৃতির জলপ্রপাত সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

৬. ধাপ জলপ্রপাত (Tiered Waterfall):- বহুমুখী ভূমিঢালের ওপর, একই জলপ্রপাতে যখন একাধিকবার বিভিন্নরকম বড়ো ধাপের সৃষ্টি হয়, তখন তাকে ধাপ জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — আলেকজান্ডার জলপ্রপাত (কানাডা)।

৭. সেগমেন্টেড জলপ্রপাত (Segmented Waterfall):- যখন কোনো জলপ্রপাতে জল নীচে পতিত হওয়ার সময় বিভক্ত হয়ে অধিক ব্যবধানযুক্ত বিভিন্ন শাখা ধাপ সৃষ্টি করে, তখন তাকে সেগমেন্টেড জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — ফ্লোরেন্স জলপ্রপাত (অস্ট্রেলিয়া)।

৮. বহুশাখা জলপ্রপাত (Multi Step Waterfall):- যখন কোনো জলপ্রপাত প্রায় একই আকারের অনেকগুলি শাখায় বিভক্ত হয়ে, প্রতিটি শাখা নিজ নিজ পৃথক প্রপাতকূপে পতিত হয়, তখন তাকে বহুশাখা জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — ফুকুরোদা জলপ্রপাত (জাপান)।

৯. চুতে জলপ্রপাত (Chute Waterfall):- উল্লম্ব ও সরু ফাঁকের মধ্য দিয়ে যখন জল ওপর থেকে নীচে পতিত হয়ে জলপ্রপাত সৃষ্টি করে, তখন তাকে চুতে জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — এগান চুতে জলপ্রপাত (কানাডা)।

১০. জমাট জলপ্রপাত (Frozen Waterfall):- শীতকালে, উষ্ণতা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেলে যখন কোনো জলপ্রপাতের জল বরফে পরিণত হয়, তখন তাকে জমাট জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — ফ্যাঙ জলপ্রপাত (USA)।

১১. পাঞ্চবাওল্ জলপ্রপাত (Punchbowl Waterfall):- চওড়া নদী বা জলধারা সরু, ছোটো ফাঁকের ভিতর প্রবাহিত হওয়ার সময় জলপ্রপাত সৃষ্টি হলে, অনেকসময় জলপ্রপাতের জল প্রথমে সরু হয়ে ভূমিঢালের শিলাগাত্র থেকে কিছুটা দুরে নিক্ষিপ্ত হয়ে চওড়া হয়ে প্রপাতকূপে পতিত হয়। একে পাঞ্চবাওল্ জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — পাঞ্চবাওল্ জলপ্রপাত (USA)।

১২. পাখা আকৃতির জলপ্রপাত (Fan Waterfall):- যখন কোনো জলপ্রপাতে জল ভূমিঢালের শিলার ওপর দিয়ে প্রশস্ত ভাবে পাখার মতো আকৃতি ধারন করে পতিত হয়, তখন তাকে পাখা আকৃতির জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — নেলসন জলপ্রপাত (অস্ট্রেলিয়া)।

১৩. অশ্বপুচ্ছ জলপ্রপাত (Horsetail Waterfall):- যখন কোনো জলপ্রপাতে জল প্রায় সর্বদা ভূমিঢালের শিলার সংস্পর্শে থেকে উল্লম্ব ভাবে, ঘোড়ার লেজের মতো সরু হয়ে পতিত হয়, তখন তাকে অশ্বপুচ্ছ জলপ্রপাত বলে। উদাহরন — হাউকিক জলপ্রপাত (দঃ আফ্রিকা)।

★মৌলিন (Moulin):- কোনো হিমবাহের বরফ গলা জল যখন হিমাবাহের কোনো গর্ত বা ফাটলে, অথবা হিমবাহের খাড়া প্রান্ত ভাগে জলপ্রপাত সৃষ্টি করে, তখন তাকে মৌলিন বলে। উদাহরন — USA-এর আলাস্কার স্নোবার্ড হিমবাহে মৌলিন দেখা যায়।

★উচ্চতা অনুসারে পৃথিবীর সেরা পাঁচ জলপ্রপাত★
(জলপ্রপাতের নাম–দেশ– উচ্চতা)

১) এঞ্জেল জলপ্রপাত — ভেনেজুয়েলা — ৯৭৯ মিটার।
২) টুগেলা জলপ্রপাত – দঃ আফ্রিকা — ৯৪৮ মিটার।
৩) ট্রিস হারমানাস জলপ্রপাত (থ্রি সিস্টার জলপ্রপাত) — পেরু — ৯১৪ মিটার।
৪) ওলোউপেনা জলপ্রপাত — USA (হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ) — ৯০০ মিটার।
৫) যুমবিল্লা জলপ্রপাত — পেরু — ৮৯৬ মিটার।

★পৃথিবীর সেরা পাঁচ জলপ্রপাত – গড় বার্ষিক জলপ্রবাহ অনুসারে★
(জলপ্রপাতের নাম — দেশ — গড় বার্ষিক জলপ্রবাহ)

১) বোয়োমা জলপ্রপাত — গনতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী কঙ্গো — ১৭,০০০ ঘনমিটার/
সেকেন্ড।
২) খোনে জলপ্রপাত — লাওস — ১১,৬১০ ঘনমিটার/সেকেন্ড।
৩) নায়াগ্রা জলপ্রপাত — USA & কানাডা — ২৪০৭ ঘনমিটার/সেকেন্ড।
৪) ইগুয়াজু জলপ্রপাত — আর্জেন্টিনা & ব্রাজিল — ১৭৪৬ ঘনমিটার/সেকেন্ড।
৫) ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত — জাম্বিয়া & জিম্বাবোয়ে — ১০৮৮ ঘনমিটার/সেকেন্ড।

★মহাদেশ ভিত্তিক উচ্চতম জলপ্রপাত★
(মহাদেশ — জলপ্রপাত — দেশ — উচ্চতা)

১) আফ্রিকা — টুগেলা জলপ্রপাত — দঃ আফ্রিকা — ৯৪৮ মিটার।
২) এশিয়া — কান্দামাইয়ান জলপ্রপাত — মালয়েশিয়া — ৭০০ মিটার।
৩) উঃ আমেরিকা — ওলোউপেনা জলপ্রপাত — USA (হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ) — ৯০০ মিটার।
৪) দঃ আমেরিকা — এঞ্জেল জলপ্রপাত — ভেনেজুয়েলা — ৯৭৯ মিটার।
৫) ইউরোপ — ভিমুফোসসেন জলপ্রপাত — নরওয়ে — ৮৬০ মিটার।
৬) ওশিয়ানিয়া — ব্রাউনে জলপ্রপাত — নিউজিল্যান্ড — ৬১৯-৮৩৬ মিটার।

★মহাদেশভিত্তিক বৃহত্তম জলপ্রপাত – গড় বার্ষিক জলপ্রবাহ অনুসারে★
(মহাদেশ — জলপ্রপাত — দেশ — গড় বার্ষিক জলপ্রবাহ)

১) আফ্রিকা — বোয়োমা জলপ্রপাত — গনতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী কঙ্গো — ১৭,০০০ ঘনমিটার/সেকেন্ড।
২) এশিয়া — খোনে জলপ্রপাত — লাওস — ১১,৬১০ ঘনমিটার/সেকেন্ড।
৩) উঃ আমেরিকা — নায়াগ্রা জলপ্রপাত — USA & কানাডা — ২৪০৭ ঘনমিটার/সেকেন্ড।
৪) দঃ আমেরিকা — ইগুয়াজু জলপ্রপাত — আর্জেন্টিনা & ব্রাজিল — ১৭৪৬ ঘনমিটার/
সেকেন্ড।
৫) ইউরোপ — ডেত্তিফোস — আইসল্যান্ড — ১৯৩ ঘনমিটার/সেকেন্ড।
৬) ওশিয়ানিয়া — সাদারল্যান্ড জলপ্রপাত — নিউজিল্যান্ড — ১১ ঘনমিটার/সেকেন্ড।

★মহাদেশভিত্তিক প্রশস্ততম জলপ্রপাত –
জলপ্রপাতের প্রস্থ বা চওড়া অনুসারে★
(মহাদেশ — জলপ্রপাত — দেশ — প্রস্থ)

১) আফ্রিকা — ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত — জাম্বিয়া & জিম্বাবোয়ে — ১৭০৮ মিটার।
২) এশিয়া — খোনে জলপ্রপাত — লাওস — ৯৭০০ মিটার।
৩) উঃ আমেরিকা — নায়াগ্রা জলপ্রপাত(Horseshoe Falls) — USA & কানাডা — নায়াগ্রা জলপ্রপাত সামগ্রিকভাবে ১০৩৯ মিটার & Horseshoe Falls একক ভাবে ৭৯০ মিটার।
৪) দঃ আমেরিকা — ইগুয়াজু জলপ্রপাত — আর্জেন্টিনা & ব্রাজিল — ২৭০০ মিটার।
৫) ইউরোপ — ভেন্টা রাপিড জলপ্রপাত — লাটভিয়া — ২৪৯-২৭০ মিটার।
৬) ওশিয়ানিয়া — ব্যারন জলপ্রপাত — অস্ট্রেলিয়া — ২৫৯ মিটার।

★একনজরে পৃথিবীর জলপ্রপাত রেকর্ডবুক★

পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত — এঞ্জেল জলপ্রপাত, (ভেনেজুয়েলা)।
পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম জলপ্রপাত — হুয়াংগুয়োশু জলপ্রপাত, (চীন)।
উঃ আমেরিকার মূল ভূখন্ডে অবস্থিত উচ্চতম জলপ্রপাত — জেমস ব্রুস জলপ্রপাত, (কানাডা)।
পূর্ব এশিয়ার উচ্চতম জলপ্রপাত — জিয়াও লুং জলপ্রপাত, (তাইওয়ান)।
পৃথিবীর বৃহত্তম একক পতন জলপ্রপাত — কাইয়েটিউর জলপ্রপাত (গায়ানা, দঃ আমেরিকা)।
‘পশ্চিমের নায়াগ্রা’ জলপ্রপাত — শোশোনে জলপ্রপাত (ইডাহো, USA)।
পৃথিবীর বৃহত্তম পতিত জলধারা — ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত (জাম্বিয়া & জিম্বাবোয়ে)।
পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত প্রণালী — ইগুয়াজু জলপ্রপাত (আর্জেন্টিনা & ব্রাজিল)।
দঃ-পূঃ এশিয়ার বৃহত্তম জলপ্রপাত — খোনে জলপ্রপাত (লাওস)।
পৃথিবীর বৃহত্তম রাপিড জলপ্রপাত — খোনে জলপ্রপাত (লাওস)।
পৃথিবীর উচ্চতম প্লাঞ্জ জলপ্রপাত — এঞ্জেল জলপ্রপাত (ভেনেজুয়েলা)।
পৃথিবীর উচ্চতম ধাপ জলপ্রপাত — টুগেলা (দঃ আফ্রিকা)।
পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত (জলপ্রবাহ অনুসারে) — বোয়োমা জলপ্রপাত (গনতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী কঙ্গো)।
ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত — ডেত্তিফোস (আইসল্যান্ড)।
আন্তর্জাতিক সীমানায় অবস্থিত, পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত — ইগুয়াজু জলপ্রপাত (আর্জেন্টিনা & ব্রাজিল)।

★★ভারতের জলপ্রপাত★★

ভারত পৃথিবীর জলপ্রপাত সমৃদ্ধ অন্যতম একটি দেশ। ভারতে প্রায় অধিকাংশ ধরনের জলপ্রপাত দেখা যায়। নীচে তা উদাহরন সহ উল্লেখ করা হল—-
প্লাঞ্জ জলপ্রপাত :- উদাহরন – নোহ্কালিকাই জলপ্রপাত (মেঘালয়)।
রাপিড জলপ্রপাত :- হৃষিকেশের নিকট গঙ্গা নদীতে (উত্তরাখন্ড)।
ক্যাটারাক্ট জলপ্রপাত :- কাকোলাত জলপ্রপাত (বিহার)।
ব্লক জলপ্রপাত :- তীরথগড় জলপ্রপাত (ছত্তিশগড়)।
কাসকেড জলপ্রপাত :- কৌরতাল্লাম জলপ্রপাত (তামিলনাড়ু)।
ধাপযুক্ত জলপ্রপাত :- দুধসাগর জলপ্রপাত (কর্ণাটক – গোয়া)।
সেগমেন্টেড জলপ্রপাত :- যোগ জলপ্রপাত (কর্ণাটক)।
পাখা আকৃতির জলপ্রপাত :- কেপ্পা জলপ্রপাত (কর্ণাটক)।
অশ্বপুচ্ছ জলপ্রপাত :- রজত প্রপাত (মধ্যপ্রদেশ)।
জমাট জলপ্রপাত :- শিলা জলপ্রপাত (স্পিতি উপত্যকা, হিমাচল প্রদেশ)।

★ভারতের সেরা পাঁচ উচ্চতম জলপ্রপাত★
(জলপ্রপাত — রাজ্য — উচ্চতা)

১) কাঞ্চিকুল জলপ্রপাত — কর্নাটক — ৪৫৫ মিটার।
২) বারেহিপানি জলপ্রপাত — ওড়িশা — ৩৯৯ মিটার।
৩) নোহ্কালিকাই জলপ্রপাত – মেঘালয় — ৩৪০ মিটার।
৪) নোহ্সনগিথিয়াং জলপ্রপাত — মেঘালয় — ৩১৫ মিটার।
৫) দুধসাগর জলপ্রপাত — কর্ণাটক & গোয়া — ৩১০ মিটার।

★একনজরে ভারতের জলপ্রপাত★

ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত — কাঞ্চিকুল জলপ্রপাত (কর্নাটক)।
ভারতের উচ্চতম প্লাঞ্জ জলপ্রপাত — নোহ্কালিকাই জলপ্রপাত (মেঘালয়)।
ভারতের প্রশস্ততম জলপ্রপাত — চিত্রকূট জলপ্রপাত, ৩০০ মিটার প্রস্থ বা চওড়া, (ছত্তিশগড়)।
‘ভারতের নায়াগ্রা’ জলপ্রপাত — চিত্রকূট জলপ্রপাত (ছত্তিশগড়)। (অনেকে তামিলনাড়ুর হোগেনক্কল জলপ্রপাতকে ‘ভারতের নায়গ্রা’ বলে থাকেন)।
ভারতের — কর্নাটক রাজ্যে সবচেয়ে বেশি জলপ্রপাত দেখা যায়।
ভারতের সর্বাধিক জলপ্রবাহ যুক্ত জলপ্রপাত — যোগ জলপ্রপাত (কর্নাটক)।

★ভারতের প্রধান প্রধান জলপ্রপাত★
(জলপ্রপাত — রাজ্য — উচ্চতা — কোন নদীতে সৃষ্ট)

১) অথিরাপ্পিল্লী জলপ্রপাত — কেরালা — ২৫ মিটার — চালাকুড়ি নদী।
২) বরকনা জলপ্রপাত — কর্নাটক — ২৫৯ মিটার — সীতা নদী।
৩) বাহুতি জলপ্রপাত — মধ্যপ্রদেশ — ১৪২ মিটার — ওদ্দা নদী।
৪) চাচাই জলপ্রপাত — মধ্যপ্রদেশ — ১৩০ মিটার — বিহাড় নদী।
৫) চিত্রকূট জলপ্রপাত — ছত্তিশগড় — ২৯ মিটার — ইন্দ্রাবতী নদী।
৬) ধুঁয়াধার জলপ্রপাত — মধ্যপ্রদেশ — ৩০ মিটার — নর্মদা নদী।
৭) দুধসাগর জলপ্রপাত — গোয়া & কর্নাটক — ৩১০ মিটার — মান্ডবী নদী।
৮) দশম জলপ্রপাত — ঝাড়খন্ড — ৪৪ মিটার — কাঞ্চি নদী।
৯) ইথিপোথালা জলপ্রপাত — অন্ধ্রপ্রদেশ — ২১ মিটার — চন্দ্রবঙ্কা নদী।
১০) গোকাক জলপ্রপাত — কর্ণাটক — ৫২ মিটার — ঘাটপ্রভা নদী।
১১) হোগেনাক্কাল জলপ্রপাত — তামিলনাড়ু — ২০ মিটার — কাবেরী নদী।
১২) হুড্রু জলপ্রপাত — ঝাড়খন্ড — ৯৮ মিটার — সুবর্ণরেখা নদী।
১৩) যোগ/গেরসোপ্পা জলপ্রপাত — কর্নাটক — ২৫৩ মিটার — শরাবতী নদী।
১৪) জোনহা জলপ্রপাত — ঝাড়খন্ড — ৪৩ মিটার — গুঙ্গা নদী।
১৫) কাঞ্চিকুল জলপ্রপাত — কর্নাটক — ৪৫৫ মিটার — ভারহি নদী।
১৬) কুনে জলপ্রপাত — মহারাষ্ট্র — ২০০ মিটার — **
১৭) লোধ/বুরহাঘাট জলপ্রপাত — ঝাড়খন্ড — ১৪৩ মিটার — বুরহা নদী।
১৮) মাগোদ জলপ্রপাত — কর্নাটক — ২০০ মিটার — বেদতি নদী।
১৯) মিনমুট্টি জলপ্রপাত — কেরালা — ৩০০ মিটার — **
২০) নোহ্কালিকাই জলপ্রপাত — মেঘালয় — ৩৪০ মিটার — **
২১) নোহ্সনগিথিয়াং জলপ্রপাত — মেঘালয় — ৩১৫ মিটার — **
২২) শিবসমুদ্রম জলপ্রপাত — কর্নাটক — ৯৮ মিটার — কাবেরী নদী।
২৩) থালাইয়ার জলপ্রপাত — তামিলনাড়ু — ২৯৭ মিটার — মঞ্জালর নদী।
২৪) থোসেঘর জলপ্রপাত — মহারাষ্ট্র — ৩৫০ মিটার — **
২৫) তীরথগড় জলপ্রপাত — ছত্তিশগড় — ৯১ মিটার — কাঙ্গের নদী।
২৬) উনচল্লি জলপ্রপাত — কর্নাটক — ১১৬ মিটার — আগহনাসিনি নদী।
২৭) ভাজরাই জলপ্রপাত — মহারাষ্ট্র — ২৬০ মিটার — উর্মোদি নদী।
২৮) ভাঝাচল জলপ্রপাত — কেরালা — ১২০ মিটার — চালাকুড়ি নদী।
২৯) ভানতাওয়াং জলপ্রপাত — মিজোরাম — ২৩০ মিটার — লাউ নদী।
৩০) বসুধারা জলপ্রপাত — উত্তরাখন্ড — ১২২ মিটার — **
(** কোনো নদী বা স্বীকৃত নদীর ওপর সৃষ্ট নয়)

লেখকঃ- অরিজিৎ সিংহ মহাপাত্র (পার্শ্বলা, বাঁকুড়া)।।
©মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া।।

আরও দেখুন “পৃথিবীর গভীরতম, প্রাচীনতম ও স্বচ্ছতম হ্রদ বৈকাল”

Content Protection by DMCA.com
এখান থেকে শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js //pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js //pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js
//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js
error: মিশন জিওগ্রাফি ইন্ডিয়া কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত